ভারত সারা বিশ্ব থেকে সিগারেটের বর্জ্য কিনছে কেনো?



ভারত সারা বিশ্ব থেকে বিভিন্ন প্রকার বর্জ্য আমদানী করে থাকে। কথাটা শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। বিশ্বের আমদানী রপ্তানি যেখানে খাদ্য, ভোজ্য তেলসহ বিভিন্ন জিনিস উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে সেখানে ভারত কিনা বিভিন্ন দেশ থেকে বর্জ্য আমদানী করছে। কিন্তু কেনো?

এসব বর্জ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সিগারেটের ফেলে দেয়া অংশ। আপনার কাছে মনে হতেই পারে এটাও আমদানী করার মত পণ্য? কি আছে সিগারেটের ফেলে দেয়া অংশে? বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশ, এমনকি ভারতের চিরশত্রু পাকিস্তান থেকেও সিফারেটের উচ্ছিষ্ট আমদানী করে থাকে।

প্রথমে জেনে নেয়া যাক সিগারেট মূল উপাদানগুলু কি কি? সিগারেটের ভেতরে তামাকে থাকে ফর্মাল-ডি-হাউড ও নিকোটিন। সিগারেটের ধোয়া ফিল্টার করার জন্য এতে দেয়া হয় বিশেষ ধরনের তুলা। কিন্তু কি আছে সিগারেটের উচ্ছিষ্টে যা ভারত আমদানী করে, যেখানে প্রতি বছর ভারতে ৪.৫ ট্রিলিয়ন সিগারেটের আবর্জনা তৈরি হয়।

ভারতের কোড এফোর্ট নামক একটি কোম্পানি সিগারেটের আবর্জনা আমদানী করে থাকে। তারা প্রতি কেজি আবর্জনা ৩০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করে। এরপর এই আবর্জনা পাঠিয়ে দেয়া হয় তুলা ও তামাক আলাদা করা জন্য। সংগ্রহ করা তামাক থেকে তৈরি করা হয় এন এম এবং এসকিউ। এগুলু মূলত মশা তাড়ানোর কাজে ব্যাবহার করা হয়। পরিত্যক্ত তুলা প্রকৃয়া জাত করে বিশুদ্ধ তুলায় পরিনত করা হয়। এই বিশুদ্ধ তুলা দিয়ে তৈরি করা হয় বাচ্চাদের প্রিয় টেডি বেয়ার পুতুল। এমনকি এই তুলা দিয়ে তৈরি করা হয় আরামদায়ক বালিশ।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন