অল্প বয়সে বিয়ে করার উপকারিতা ইসলাম ও বাস্তবতা



বিয়ে একজন মানুষের জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ন অধ্যায়। জীবনে সফলতা অর্জন করার পর একজন নারী বা পুরুষের উপর বিয়ের চিন্তা ঢোকে। আর সেই সফলতা অর্জন করতে করতে চলে যায় জীবনের অর্ধেকেরও বেশি সময়। বর্তমান গড় আয়ু হিসেব করলে দেখা যাবে মানুষ প্রায় শেষ বয়সে বিয়ে করছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট হিসেব করলে একজন পুরুষ ৩০ বছরের আগে বিয়ের কথা চিন্তা করে না বা ৩০ বছরের আগে বিয়ে করে না। জীবনে অনেক কিছু অর্জন করতে গিয়ে অনেকে পুরুষোতো ৪০ উর্ধ হয়ে বিয়ের পিরিতে বসে।প্রকৃত পক্ষে বিয়ের বিয়ের আসল বয়স হয়তো ভুলেই গেছি।


আরও পড়ুনঃ মেয়ে পটানোর কৌশল


গবেষকদের মতে ২৮ থেকে ৩০ বিয়ের প্রকৃত বয়স। বিবাহিত জীবন দীর্ঘ করতে এই বয়সে বিয়ে করার পরামর্ষ দিয়ে থাকে তারা। যদি বিয়ের বয়স আদর্শ বয়স ২৮ থেকে ৩০ হয়ে থাকে তাহলে জীবনের অর্ধেক সময় পার হওয়ার পর বিয়ে করতে হবে। আবার এ কথাও সত্যি যে ৩০ উর্ধ হলে পুরুষের যৌন শক্তি হ্রাস পেতে থাকে। মানে কি হলো? একই বিজ্ঞান, দুই মতবাদ।


আরও পড়ুন:   অল্প বয়সে বিয়ের উপকারীতা


তবে ইসলাম বলে অল্প বয়সে বিয়ে বা দ্রুত বিয়ে করা উত্তম। দ্রুত বিয়ে করার অনেক উপকারিতা বিদ্যমান। যদিও বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছেলে মেয়ের বিয়ের নির্দিষ্ট বয়সসীম বেধে দেয়া হয়েছে। একটু গবেষণা করলে দেখা যাবে যারা কখনও সন্তান নিতে আগ্রহী নন তাদের পক্ষ থেকে  এসব আইন প্রনয়ন  করা হয়েছে। যাইহোক এগুলু বৈশ্বিক বিষয়। আসুন দেখা যাক দ্রুত বা অল্প অয়সে বিয়ে করার উপকারিতা কি কি?

১) ইজ্জতের হেফাজতঃ ইসলামের দৃষ্টিতে প্রত্যেক নারী ও পুরুষের জন্য নিজ নিজ লজ্জা স্থান হেফাযক করা ফরজ। শুধু ইসলাম নয় অন্যান্য ধর্মের লজ্জা স্থান হেফাজত করার তাগিদ দেয়া হয়েছে। একজন নারী বা পুরুষ যখনই তার মধ্যে যৌন আকাঙ্ক্ষা তৈরি হবে তখন থেকে অন্য লিঙ্গের প্রতি আকর্ষন সৃষ্টি হবে।  ঠিক সেই সময় তাকে বিয়ে করিয়ে দিলে তার ভেতরে পাপযুক্ত কোন চিন্তা আসবে না।

২) আয়ু বাড়েঃ এখটি গবেষনায় দেখা গেছে যেসন নারী ও পুরুষ কম বয়সে বিয়ে করে তাদের গড় আয়ু দেরি করে বিয়ে করা নারী ও পুরুষের চাইতে বেশি হয়। উদাহরন হিসেবে নিজদের দাদা দাদীর দিকে তাকালেই দেখা যাবে। অনাকাঙ্খিত মৃত্যু ছাড়া তাদের গড় আয়ু আজ ৮০ থেকে ১০০ বছর বয়স।

৩) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়েঃ গবেষণা বলছে যারা দ্রুত বিয়ে করে তাদের শরীরে রোগ বাসা বাধে কম। তারা অসুস্থ হয় কম। দ্রুত বিয়ে করলে জেনা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ব্যভিচার বন্ধ হবে, ধর্ষণের মত মারাত্মক অপরাধ থেকে সমাজ মুক্ত হতে পারবে।

মহান আল্লাহ্‌ পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করেন- 

“তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিয়ে সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ণ, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে স্বচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ। যারা বিবাহে সমর্থ নয়, তারা যেন সংযম অবলম্বন করে যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেন।”                                                                                             

                                                                                                          (সূরা নূর : আয়াত ৩২-৩৩)


আল্লাহ্‌পাক আরও বলেন-

আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সঙ্গিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন।

                                                                                                              (সূরা রুম : আয়াত ২১) 


আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ ((সঃ) বলেন-

তিন ধরনের বান্দাদের সাহায্য করা আল্লহর জন্য কর্তব্য হয়ে যায়-

১) আল্লাহ্‌ তাআলার রাস্তায় জিহাকারী

২) চুক্তিবদ্ধ গোলাম যে তার মনিবকে চুক্তি অনুযায়ী সম্পদ আদায় করে মুক্ত হতে চায়।

৩) বিবাহিত ব্যক্তি যে (বিবাহ করার মাধ্যমে) পবিত্র থাকতে চায়।



Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন